আ,হ,জুবেদঃ কুয়াশায় ঢাকা সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেওয়া ভোজন বিলাসী বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ।
শতব্যস্ততার প্রবাসে বিশ্বের ৬টি মহাদেশের শতাধিক দেশে বসবাসরত প্রায় ১কোটি বাঙ্গালী, বাংলাদেশী একদিকে যেমন তাদের নিজ কৃষ্টি কালচার কখনো ভুলে থাকতে পারেনা, ঠিক তেমনি বাঙ্গালীরা আবহমান কাল ধরে তাদের সংস্কৃতিকে লালন করে আসছে বিশ্বের বহু দেশে তথা গোটা বিশ্বকে জানান দিচ্ছে বাংলার পিঠা উৎসব।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৯শে ডিসেম্বর ২০১৭ইং রোজ শক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রয়াস থেকেই প্রবাসে বাংলাদেশিদের এই পিঠা উৎসবের আয়োজন। বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরই এ ধরনের পিঠা উৎসব হয়ে থাকে বলেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস,এম, আবুল কালাম।
তিনি আরো বলেন, পিঠা কেবল উপাদেয় খাবার মাত্র নয়। আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল লতিফ খান (শ্রম কাউন্সিলর, বাংলাদেশ দূতাবাস-কুয়েত) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান (প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান- বাংলাদেশ দূতাবাস,কুয়েত)
পিঠা উদ্যাপন কমিটির আয়োজক যথাক্রমে, রফিকুল ইসলাম ভুলু, আবদুল হাই, আবদুল কাদের, আতিকুর রহমান ও পিঠা তৈরিকারী প্রবাসী মহিলারা বলেন, আদিকাল থেকে বাংলায় হেমন্ত ঋতুতে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল উঠলে আয়োজন করা হত পিঠা উৎসবের। এ পিঠা বাংলাদেশের সংষ্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪০টি স্টলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের তৈরি নানা রকম পিঠা, মিষ্টান্ন খাবার ও কেকসহ ২৬ রকমের ভর্তা নিয়ে আসেন। শেষে বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা দেওয়া হয়।